শর্তসাপেক্ষে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি ‘মানবিক করিডর’ স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
রাখাইনের জন্য করিডর স্থাপনের সম্মতির পক্ষে সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ শর্তসাপেক্ষে করিডর দেওয়ার পক্ষে। তবে, এটি করতে হলে অনুকূল পরিবেশ ও নিরাপত্তার বিষয়টি সবার ওপরে রাখছে সরকার। এ করিডর হলে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে পারবেন— এমন ধারণা পোষণ করছেন তারা।
স্থানীয় এক কূটনীতিক বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিচ্ছি। যতদিন এ সমস্যার সমাধান না হয় সহায়তা দিতে হবে। এখনো কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন, আটকানো যাচ্ছে না। মিয়ানমারের পরিস্থিতি মোটেই ভালো না। সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হলে বড় আকারে রোহিঙ্গা ঢল নামতে পারে। আমরা করিডর দিয়ে দিয়েছি— বিষয়টা এমন না। আমরা যদি করিডর দিই, সেটা অবশ্যই শর্তসাপেক্ষে হবে। পরিবেশ অবশ্যই অনুকূলে হতে হবে। অনুকূল পরিবেশ না হলে করিডরের কথা চিন্তা করে লাভ নেই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যাদের সাহায্য দেওয়া হবে তাদের নিরাপত্তা, যারা কাজ করবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।